সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলায় এক গৃহবধূকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। ওই গৃহবধূর নাম মাহফুজা খাতুন (৩০)। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (১৮ মার্চ) বিকেলে উপজেলার আড়ংগাছা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নির্যাতিত গৃহবধূ মাহফুজা খাতুন ওই গ্রামের অহিদুল্লাহ গাজীর স্ত্রী। বর্তমানে তিনি কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। আটককৃতরা হলেন- অহিদুল্লাহ গাজীর বোন মাছুমা বেগম (৩০) ও তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী মর্জিনা বেগম (২৫)।
নির্যাতিত গৃহবধূর বড় ভাই বাবলুর রহমান মোল্যা জানান, ২০০৪ সালে তার বোন মাহফুজা খাতুনের সঙ্গে কালিগঞ্জ উপজেলার আড়ংগাছা গ্রামের মৃত আব্দুল্লাহ গাজীর ছেলে অহিদুল্লাহ গাজীর বিয়ে হয়। তাদের সংসারে তাহশিয়া খাতুন (১২) ও তুন্নি খাতুন (৮) নামে দুইটি মেয়ে রয়েছে। সম্প্রতি মাহফুজা ও অহিদুল্লাহর মধ্যে পারিবারিক কলহ বাধে।
এর জের ধরে মাহফুজা শ্যামনগর উপজেলার নূরনগর ইউনিয়নের দক্ষিণ হাজিপুর গ্রামে বাবার বাড়ি চলে আসে। এই সুযোগে অহিদুল্লাহ মাহফুজাকে একটি ভুয়া তালাকনামা পাঠায় এবং তার বড় মেয়ে তাওছিয়াকে ঘরে আটকে রাখে। বিষয়টি জানতে পেরে মাহফুজা মেয়েকে দেখতে ও তালাকের বিষয়টি জানতে শনিবার বিকেলে শ্বশুর বাড়িতে যায়।
এসময় অহিদুল্লাহ ও তার পরিবারের সদস্যরা মিলে মাহফুজাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে নির্যাতন করে। এক পর্যায়ে মাহফুজা মারা গেছে ভেবে সবাই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে।
কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুবির দত্ত বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় নির্যাতিত গৃহবধূর ছোট ভাই লাভলু মোল্লা বাদি হয়ে মাহফুজার স্বামী অহিদুল্লাহসহ তার পরিবারের সাতজনের নামে একটি মামলা দায়ের করেছে। ইতোমধ্যে দুইজকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটকে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।